বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
আগামীকাল ২২ মার্চ খুলনায় ভূমিহীন গৃহহীন ৫ হাজার ৫২৯ টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন তার সম্মেলন কক্ষে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রেসব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যা আগামীকাল ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে দশটায় তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৭৯ টি এবং চতুর্থ পর্যায়ের ৭৫৭ টি সহ মোট ৮৩৬ টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন।
প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক বলেন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নে লালিত বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
কারণ বঙ্গবন্ধু সব সময় দেশের হত-দরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে থেকে তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতেন। জাতির পিতা শত আন্দোলন সংগ্রামের মাঝেও অসহায় মানুষদের দুমুঠো ভাতও আবাসস্থানের জন্য সংগ্রাম করে বাংলার অসহায় মানুষদের সকল দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখতেন। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে দেশের হতদরিদ্র ভূমিহীন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এবং প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলদেশে একটি মানুষ ও অনাহারে ও গৃহীন থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিও গৃহপ্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল খুলনা জেলার রুপসা উপজেলায় ৭৫ টি তেরখাদায় ৯০ টি ডুমুরিয়ায় ২০০ টি পাইকগাছায় ৬৬ টি দাকোপে ৭৫ টি বটিয়াঘাটায় ৮০ টি দিঘলিয়ায় ১৮০ টি এবং ফুলতলা উপজেলা ৭০ টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর স্থানান্তর করা হবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক আরো বলেন জেলায় ভূমিহীন ও গৃহীন পরিবারের পূনর্বাসনের কাজ সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। চতুর্থ পর্যায়ে ঘর নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রেস ব্রিফিং এ আরো জানানো হয় ক শ্রেণীর পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই এমন ভূমিহীন গৃহীন ছিন্নমূল্য ও অসহায় দরিদ্র পরিবার এবং পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০% জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। ক শ্রেণীর পরিবারের জন্য আগ্র অধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কণ্টক কাজ জমি সরকারিভাবে ক্রয়-কৃত জমি সরকারের অনুকূলে কারো দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন গৃহীনদের দুই শতক জমি সহ সেমিফাকা এক গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে খাস জমিন সংস্থান না থাকায় খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় ৩ দশমিক ৭৭ একর দিঘলিয়া উপজেলায় ২.৪১৮ একর বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২.০০ একর ফুলতলা উপজেলায় ৪.১২ একর এবং রূপসা উপজেলায় ০.২৪একরসহ মোট ১২. ৪৭৮ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয় খুলনা জেলার মোট ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৫২৯ টি।
ইতোমধ্য প্রথম পর্যায়ে ৯২২ টি দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩৫১টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৯০৬ টি জমির মালিকানা সহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলমান চতুর্থ পর্যায়ে তৃতীয় ধাপে বরাদ্ধ প্রাপ্ত মোট গৃহের সংখ্যা ১৮১৯ টি। বর্তমানে কাজ চলমান ১০৬২ টি গৃহে ভূমিহীন গৃহীন পূর্ণবাসনের পর খুলনা জেলায় অবশিষ্ট ভূমিহীন গৃহীন পরিবার থাকবে ৩৭৬ টি। উল্লেখ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত ব্যারাকে ১৩খাদা উপজেলা ত্রিশটি পাইকগাছায় ৭৩ টি ও দাকোপ উপজেলায় ৫০টি মোট ১৫৩ টি এবং খুলনা ১ আসনের সংসদ সদস্য কর্তৃক উপজেলায় দাকোপ উপজেলায়ে দুইটি ভূমিহীন গৃহীন পরিবারকে পূনর্বাসন করা হয়েছে।
মত বিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং এ খুলনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মুনির লিংকন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) আতিকুল ইসলাম খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।