যে সব কারণে রোজা না রাখার অনুমতি আছে।

মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল,
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধী।

১,যদি কেউ শরীআতসম্মত সফরে থাকে তা হলে তার জন্য রোযা না রাখার অনুমতি আছে, পরে কাযা করে নিতে হবে। কিন্তু সফরে যদি কষ্ট না হয়, তাহলে রোযা রাখাই উত্তম। আর যদি কোন ব্যক্তি রোযা রাখার নিয়ত করার পর সফর শুরু করে, তাহলে সে দিনের রোযা ভাঙ্গা জায়েয নয়, রাখা জরুরি।
২,কোনো রোগী ব্যক্তি রোযা রাখলে যদি তার রোগ বেড়ে যাওয়ার আশংকা হয় অথবা অন্য কোনো নতুন রোগ দেখা দেয়ার আশংকা হয় অথবা রোগ মুক্তি বিলম্বিত হওয়ার আশংকা হয়, তা হলে রোযা ছেড়ে দেয়ার অনুমতি আছে। সুস্থ হওয়ার পর কাযা করে নিতে হবে। তবে অসুস্থ অবস্থায় রোযা ছাড়তে হলে কোনো দ্বীনদার পরহেজগার চিকিৎসকের পরামর্শ থাকা শত, কিংবা নিজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে হতে হবে, শুধু নিজের কাল্পনিক খেয়ালের বশীভূত হয়ে আশংকাবোধ করে রোযা ছাড়া দুরস্ত হবে না। তাহলে কাযা কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে।
৩,রোগ মুক্তির পর যে দুবলতা থাকে তখন রোযা রাখলে যদি পুনরায় রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশংকা হয়, তাহলে তখন রোযা না রাখার অনুমতি আছে, পরে কাযা করে নিতে হবে।
৪,গভবতী বা দুগ্ধদায়িনী স্ত্রীলোক রোযা রাখলে যদি নিজের জীবনের ব্যাপারে বা সন্তানের জীবনের ব্যাপারে আশংকা বোধ করে বা রোযা রাখলে দুধ শুকিয়ে যাবে আর সন্তানের সমূহ কষ্ট হবে এরূপ নিশ্চিত হয়, তাহলে তার জন্য তখন রোযা ছাড়া জায়েয, পরে কাযা করে নিতে হবে।
৫,হায়েয নেফাস অবস্থায় রোযা ছেড়ে দিতে হবে এবং পবিত্র হওয়ার পর কাযা করে নিতে হবে।
(আহকামে জিন্দেগী ৫ ম সংস্করণ ২৬৪ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ রব্বুল আলামীন, আপনাকে, আমাকে সঠিক মাস আলা জেনে, বুঝে রমজানে রোযা রাখার তৌফিক দান করুক।

চলবে ইনশাআল্লাহ ধারাবাহিক ভাবে (০৭)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *