মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল,
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধী।
১,রোযার নিয়ত (রাতে) করার পর ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে।
২,রোযার নিয়ত করার পর ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রী সস্মোগ করলে, স্ত্রীর উপরও কাযা কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে। স্ত্রী যোনির মধ্যে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ প্রবেশ করালেই কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যাবে, চাই বীয পাত হোক বা না হোক।
৩,রোযার নিয়ত করার পর (পাপ হওয়া সত্ত্বেও) যদি পুরুষ তার পুরুষাঙ্গ স্ত্রীর পায়খানার রাস্তায় প্রবেশ করায় এবং অগ্রভাগ ভিতরে প্রবেশ করে চাই বীয পাত হোক বা না হোক তা হলে পুরুষ স্ত্রী উভয়ের উপর কাযা এবং কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে।
৪,রোযা অবস্থায় কোনো বৈধ কাজ করল যেমনঃ স্ত্রীকে চুম্বন দিল কিংবা মাথায় তেল দিল তা সত্ত্বেও সে মনে করল যে রোযা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, আর তার পরে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার ইত্যাদি করল, তা হলে ও কাযা কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে।
(আহকামে জিন্দেগী ৫ ম সংস্করণ ২৬৩/২৬৪ পৃষ্ঠা)
কাফফারা,
হুযাইফাহ (রাঃ) হতে বণিত। তিনি বলেন, একদা উমার (রাঃ) বললেন, ফিতনা সম্পর্কিত নবী (সাঃ) এর হাদিসটি কার মুখস্থ আছে, হুযাইফাহ (রাঃ)বললেন আমি নবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, পরিবার, ধন সম্পদ, এবং প্রতিবেশীই মানুষের জন্য ফিতনা। সলাত, সিয়াম এবং সদকা এর কাফফারা হয়ে যায়।উমার( রাঃ) বললেন, এ ফিতনা সম্পর্কে আমি প্রশ্ন করছি না, আমি তো প্রশ্ন করেছি ঐ ফিতনা সম্পর্কে, যা সমুদ্রর ঢেউয়ের ন্যায় আন্দোলিত হতে থাকবে। হুযাইফাহ (রাঃ)বললেন এ ফিতনার সামনে বন্ধ দরজা আছে। উমার (রাঃ) বললেন এ দরজা কি খুলে যাবে, না ভেঙে যাবে? হুযাইফাহ (রাঃ)বললেন ভেঙে যাবে। উমার( রাঃ) বললেন তাহলে তো তা কিয়ামত পযন্ত বন্ধ হবে না। আমরা মাসরুক (রহ)কে বললাম, হুযাইফাহ (রাঃ)কে জিজ্ঞেস করুন, উমার( রাঃ) কি জানতে, কে সেই দরজা? তিনি বললেন, হা, তিনি এরূপ জানতেন যেরূপ কালকের দিনের পূর্বে আজকের রাত। (৫২৫)(আ,প্র,১৭৬০,ই,ফা,১৭৭১)
(সহীহুল বুখারী ২য় খন্ড ১৮৯৫ নং হাদিস ২৯৫ পৃষ্ঠা)