যে সব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় এবং কাজা ওয়াজিব হয়।

মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল, ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধী।

১,কানে বা নাকে ওষুধ দিলে।
২,ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে বা অল্প বমি আসার পর তা গিলে ফেললে।
৩,কুলি করার সময় অনিচ্ছাবশত কন্ঠনালীতে পানি চলে গেলে।
৪,স্ত্রী বা কোনো নারীকে শুধু স্পর্শ প্রভৃতি করার কারণেই বীয পাত হয়ে গেলে।
৫,এমন কোন জিনিস খেলে যা সাধারণত খাওয়া হয় না। যেমন কাঠ, লোহা, কাগজ,পাথর, মাটি কয়লা ইত্যাদি।
৬,বিড়ি সিগারেট বা হুক্কা সেবন করলে।
৭,আগরবাতি প্রভৃতির ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা হলকে পৌঁছালে।
৮,ভুলে পানাহার করার পর রোযা ভেঙ্গে গেছে মনে করে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কিছু পানাহার করলে।
৯,রাত আছে মনে করে সুবহে সাদেকের পরে সেহেরী খেলে। ১০,ইফতারীর সময় হয়নি, দিন রয়ে গেছে অথচ সময় হয়ে গেছে এই মনে করে ইফতারী করলে।
১১,দুপুরের পরে রোযার নিয়ত করলে।
১২,দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে তা যদি থুথুর চেয়ে পরিমাণে বেশি হয় এবং কণ্ঠনালীর নিচে চলে যায়।
১৩,কেউ জোর পূবক রোয়াদারের মুখে কোনো কিছু দিলে এবং কণ্ঠনালীতে পৌঁছে গেলে।
১৪,দাঁতে কোন খাদ্য টুকরো আটকে ছিল, সুবহে সাদেকের পর তা যদি পেটে চলে যায়, তবে সে টুকরো ছোলা বুটের চেয়ে ছোট হলে রোযা ভেঙ্গে যায় না, তবে এরূপ করা মাকরূহ। কিনতু মুখে থেকে বের করার পর গিলে ফেললে তা যতই ছোট হোক না কেন রোযা কাযা করতে হবে।
১৫,হস্তমৈথুন করলে যদি বীযপাত হয়।
১৬,পেশাবের রাস্তায় বা স্ত্রী যোনিতে কোনো ওষুধ প্রবেশ করালে।
১৭,পানি বা তেল দ্বারা ভিজে আঙ্গুল যৌনিতে বা পায়খানার রাস্তায় প্রবেশ করালে।
১৮, শুকনো আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে পুরোটা বা কিছুটা বের করে আবার প্রবেশ করালে, আর যদি শুকনো আঙ্গুল একবার প্রবেশ করিয়ে একবারেই পুরোটা বের করে নেয়, আবার প্রবেশ না করায়, তা হলে রোযার অসুবিধা হয় না।
১৯,মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে গেলে এবং এ অবস্থায় সুবহে সাদেক হয়ে গেলে।
২০,নস্যি গ্রহন করলে বা কানে তেল ঢাললে।
২১,কেউ রোযার নিয়তই যদি না করে তাহলেও শুধু কাযা ওয়াজিব হয়।
২২,স্ত্রী বেহুঁশ থাকা অবস্থায় কিংবা বে খবর ঘুমন্ত অবস্থায় তার সাথে সহবাস করা হলে ঐ স্ত্রীর উপর শুধু কাযা ওয়াজিব হবে।
২৩,রমযান ব্যতীত অন্য নফল রোযা ভঙ্গ হলে শুধু কাযা ওয়াজিব হয়।
২৪,এক দেশে রোযা শুরু করার পর অন্য দেশে চলে গেলে সেখানে যদি নিজের দেশের তুলনায় আগে ঈদ হয়ে যায় তাহলে নিজের দেশের হিসাবে যে কয়টা রোযা বাদ গিয়েছে তার কাযা করতে হবে। আর যদি সেখানে গিয়ে রোযা এক দু টো বেড়ে যায় তাহলে সেই এক দু টো রাখতে হবে।
(আহকামে জিন্দেগী, ৫ ম সংস্করণ, ২৬২/২৬৩ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ রব্বুল আলামীন, আপনাকে, আমাকে, আমাদের সবাই কে সঠিক মাস আলা জেনে বুঝে রমজানের রোযা রাখার তৌফিক দান করুক।

চলবে ইনশাআল্লাহ ধারাবাহিক ভাবে, ০৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *