রমযান মাসের সম্মান রক্ষার মাসায়েল।

মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল,
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধী।

রমজান মাসে দিনের বেলায় লোকদের পানাহার উদ্দেশ্য হোটেল রেস্তোরাঁ প্রভৃতি খাবার দোকান খোলা রাখা রমজানের অবমাননা বিধায় তা পাপ। অন্য ধমাবলম্বী বা মাযূর ব্যাক্তিদের খাতিরে খোলা রাখার অজুহাত গ্রহনযোগ্য নয়।
কোন কারণ বশত রোজা ভেঙ্গে গেলেও বাকি দিনটুকু পানাহার পরিত্যাগ করে রোজাদারের ন্যায় থাকা ওয়াজিব। (বেহেশতী জেওর)
দুর্ভাগ্যবশত কেউ যদি রোজা না রাখে তবুও অন্যের সামনে পানাহার করা বা প্রকাশ করা যে, আমি রোজা রাখিনি এতে দ্বিগুণ পাপ হয়, প্রথম হল রোজা না রাখার পাপ, দ্বিতীয় হল গোনাহ প্রকাশ করার পাপ।
(আহকামে জিন্দেগী ৫ ম সংস্করণ ২৬৫ পৃষ্ঠা)

আমাদের চার পাশে শত শত মানুষ আছে, তারা প্রকাশে পান, বিড়ি, সিগারেট, চা খেয়ে বেড়াচ্ছে, খোদ রোজা দার বেক্তির সামনে খাচ্ছে, এরা জানেনা কত বড় পাপ করছে। পরকালের শাস্তির ব্যবস্থা আছে, আমাদের সমাজের শত শত মানুষ আছে ভালো ভাবে সব কিছু ঠিক ঠাক করছে, ব্যাবসা, চাকুরী, নিজ নিজ কাজ কর্ম, কিন্তু রোজা রাখার ব্যাপারে উদাসীন, রোজা রাখার কথা বললে হয়তো চুপ না হলে বিভিন্ন ওজুহাত দেখাবে,
একটা কথা মাথায় রাখবেন, আপনি আমি দিন রাত যা কিছু করি না কেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন সব কিছু দেখছে শুনছে, কাল হাশরের ময়দানে অবস্থান করতে হবে আপনাকে আমাকে, তাই এখনি ফিরে আসি আল্লাহ দিকে, রাসুল (সাঃ) এর আনিত দ্বীনের পথে।

চলবে ইনশাআল্লাহ ধারাবাহিক ভাবে। (০৯)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *