মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি, সনদ বাতিল হলেও সন্তান চাকরিতে বহাল।

মোঃ আসিফ মল্লিক পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ হানিফ ভূইয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে চলছে ভান্ডারিয়া বাসিন্দা মোঃ খালেক ভূইয়া।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে সকল নথিপত্রও তৈরি ছিল।
তার সন্তান জাল মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দিয়ে বর্তমানে সরকারী চাকরিতে বহাল মোঃ হানিফ ভূইয়া। অভিযোগ উঠেছে, মোঃ খালেক ভূইয়া ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজ সংলগ্ন লখিপুরা তাদের নিজ ঠিকানা মোঃ হানিফ ভূইয়া তাহার পিতার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সরকার যাচাই বাচাই করলে দেখা যায়, সে মুক্তিযুদ্ধের কোন তালিকায় বা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি, অতপর তাকে মুক্তিযুদ্ধা থেকে বাতিল করা হয়।এবং পিরোজপুর ভান্ডারীয়ার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির মো বাচ্চু হাওলাদারের সভাপতি ও মো নান্নান বিএসসি সদস্য ও ইওনো তাদের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়,আমাদের সরকার সবাইকে যাচাই-বাছাই করার জন্য বলেনি, শুধুমাত্র কয়েকজনার লিস্ট পাঠিয়েছে যাদের লিস্ট পাঠিয়েছে শুধু তাদেরই তো হয় বাছাই আমরা করেছি।প্রতি মুক্তিযোদ্ধা ও তার জন সাক্ষী সহ আমরা তার সাক্ষাৎকার নিয়েছি,যার ৩ জন সাক্ষীর সাথে সব কাগজপএ ও কথার মিল রয়েছে এবং তাদের আমরা সুপারিশ করেছি। এবং যাদের তিনজন সাক্ষী ও মুক্তিযোদ্ধা সমর্থককারীর এবং বিভিন্ন সার্টিফিকেট মিল পাইনি তাদের ভাতা বন্ধ করার জন্য আমরা দরখাস্ত দিয়েছি।

কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়া মো খালেক ভূঁইয়া নামক এই ব্যক্তির তার ৩ জন সাক্ষীর সাথে এবং তাদের মধ্যে একে অপরের কারোরই কথা মিল নেই এবং তার সার্টিফিকেট ও জাল বলে গণ্য করা হয়েছে। এবং মো নান্নান বিএসসি এর কাছ থেকে শোনা জায় আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলাম আমি মো খালেক ভূঁইয়া নামে কোন ব্যক্তি আমাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধার সময় কোথাও ছিলেন না মো খালেক ভূঁইয়া এ নাম কখনো শুনিও নাই। আমরা যাচাই-বাছাই যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য না পাওয়ায় আমরা মো খালেক ভূঁইয়া নামক এবং সকল সুযোগ- সুবিধা ভাতাদি বন্ধ করা হয়। তাকে জালিয়াতি বা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অত্র মুক্তিযোদ্ধা থেকে বাতিল করা হয়। কিন্তু তাহার পিতার সেই জালিয়াতি মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নিয়ে এখনও মোঃ হানিফ ভূইয়া পূর্ব মাঠিভাংগা ৯৫নং প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ে চাকরিতে কর্মরত আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ হানিফ ভূঁইয়া বলেন, তিনি নিজেই শিকার করেন বর্তমানে আমার বাবার ভাতা বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ যে তালিকা রয়েছে সেখানে তার নাম নাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও দিয়েছেন বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, এজন্য আমরা আপিল করেছি। যে কোন সময় শুনানি হতে পারে। তার জন্য অপেক্ষা করছি।

ভান্ডারিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ভুবনী শংকর বল বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সঠিক মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় রয়েছে। যারা তালিকায় নাই তারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *