জাহাঙ্গীর আলম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়
জিনের স্বর্ণের পুতুল দেওয়ার কথা বলে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের লোভ লালসা দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এক প্রতারক চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার ৭ (এপ্রিল) মধ্যেরাতে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের কোচল এলাকার আলোচিত প্রতারক চক্রটির তিন পুরুষ ও ৫ জন নারী সহ মোট ৮জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।
প্রতারণার চক্রটির মধ্যে আটক কৃতরা হলেন, রুমা আক্তার,ঝর্ণা আক্তার,আমেনা বেওয়া,রুপালী আকতার,পারুল আকতার ,বিপ্লব,সুমন ও মারুফ।
রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল এ বিষয়ে শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেসব্রিফিংয়ে ওসি তার লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় সীমান্তবর্তী কোচল গ্রাম থেকে ৮ জন স্বর্ণ প্রতারককে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তিনি বলেন,উপজেলার কোচল এলাকার নাজমা ওরফে ছুটুনি বুড়ি, তার ছেলে রুবেল, মেয়ে জামাই আকাশ আলী মিলে জিনের স্বর্ণের পুতুল প্রতারণার এ চক্রটি পরিচালনা করে আসছে। তারা মানুষকে প্রতারিত করাসহ বিভিন্ন হয়রানী করে থাকেন। এই প্রতারক চক্রটি গত বৃহস্পতিবার দিনাজুপর জেলার সেতাবগঞ্জ থানা এলাকার মাইনুল হোসেনকে স্বর্ণের পুতুল দেওয়ার কথা বলে, ছুটুনি বুড়ি তার বাড়ীতে মাইনুল হোসেনকে ডেকে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
একইভাবে দিনাজপুর জেলার বিরল থানা এলাকার উম্মে কুলসুম নামে এক নারীর নিকট সাড়ে ৩লাখ টাকা একই কায়দায় হাতিয়ে নিয়ে পুতুল না দিয়ে তাদের উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে ভুক্তভুগীরা থানায় আশ্রয় নিলে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৮জন সদস্যকে গ্রেফতার করে।
তবে প্রতারক চক্রের মুল হোতা নাজমা ওরফে ছুটনি বুড়ি ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়েছেন জানিয়ে ওসি বলেন, তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ওসি গুলফামুল ইসলাম মন্ডল আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের হবে। এবং ছুটুনি বুড়ির অন্যতম সহযোগি ছেলে রুবেল ও মেয়ে জামাই আকাশকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র এতে আরো সদস্য থাকতে পারে। এরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় লোকজন ভুলিয়ে ভালিয়ে ভুয়া সোনার মূর্তি ও অন্য দ্রব্যাদি বিক্রি করে প্রতারণা করে আসছিল। ওসি (তদন্ত) মহসিন ও সঙ্গীয় ফোর্স তাদেরকে বাড়ি থেকে উল্লিখিত সময়ে গ্রেফতার করে। তাদের নামে থানায় পৃথক দুটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে আজ (৮ এপ্রিল) শনিবার ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।