মিজানুর রহমান
নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বাঙ্গালকান্দা গ্রামের ১০ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর – লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ৯ এপ্রিল রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বাঙ্গালকান্দা গ্রামে ফারুক শেখের বাড়ি সহ ১০ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট করে নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোরাদ হোসেন সমর্থক বাবুল মুন্সি, জালাল খাঁ, সোবাহান মুন্সী গংরা।মামলামকদ্দমা নিয়ে সোবাহান মুন্সী, বাবুল মুন্সি, জালাল খাঁ গংদের সাথে ফারুক শেখ,হাজী ফেলু সরদার গংদের সাথে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই সুত্র ধরে ৯ এপ্রিল রবিবার সকালে মামলার আসামী জয়নাল মুন্সি (৩৫) পিতা, সালাম মুন্সী গ্রাম- বাঙ্গালকান্দা বাড়ি থেকে সদাই আনতে জুয়ারকান্দী বটতলা দোকানে পৌছালে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে জালাল খাঁ, ইদ্রিস খা, বাবুল মুন্সী গংরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে, পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে বলে হাজী ফেলু সরদার সহ তার স্বজনরা জানান।জয়নাল মুন্সি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
সকালে লোমহর্ষক ঘটনার পর রাঁত ৮ টার দিকে আবারও মোরাদ সমর্থক বাবুল মুন্সি, জালাল খাঁ গং প্রায় তিন শতাধিক লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ঢাল,সুরকি,লাঠিসোটা, লোহার পাইপ,রামদা,ছ্যান নিয়ে ফারুক শেখ এর বাড়িতে প্রথমে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করে নেয় এবং দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।এর পর ফারুক শেখ সমর্থক জামাল শেখ,ফজলু মুন্সি, জয়নাল মুন্সি, মুন্নু মুন্সি, হারুন মুন্সী,আজিজুল মুন্সি, নজরুল মুন্সি, মিরাজ মুন্সি, চুন্নু মুন্সি, মসলেম মুন্সীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ১৮ টি ঘর ভাঙচুর লুটপাট করে নেয়। স্থানীয় লোকজন জানান প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে তাদের।স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ডাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম ও আওয়ামী লীগ নেতা মোরাদ হোসেন এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল গোলযোগ চলে আসছে।ইউনিয়নে উভয়ের সমর্থকদের মাঝে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রায়ই ঘটছে এমন ঘটনা।এবিষয় জালাল খাঁ,বাবুল মুন্সি গংরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। আওয়ামী লীগ নেতা মোরাদ হোসেন এর ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন গোলমালের খবর শুনে পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।